সুরজিৎকে মনে আছে? দেব–অঙ্কুশের ছবির সেই ভিলেন এখন সংসার চালাতে খুলেছেন মুদির দোকান!

সুরজিৎকে মনে আছে? দেব–অঙ্কুশের ছবির সেই ভিলেন এখন সংসার চালাতে খুলেছেন মুদির দোকান!

সুরজিৎ সেন

বাংলা সিনেমার শ্রোতাপ্রিয় খলচরিত্র নির্মাণের এক নাম গেল—সурজিৎ সেন। একসময় ছিলেন বলাই ঠিক-ঠিক “ভিলেন” চরিত্রে ভয়ংকর, তবে আলাপ আজ একটু অন্যরকম। মঞ্চ না, ক্যামেরার আলো না, এখন তিনি চালাচ্ছেন মুদির দোকান। এমনই পরিবর্তনের গল্পে চলুন একটু গভীরে যাই।


একসময় ঝলমলে ক্যারিয়ার

সুরজিৎ সেন সেভাবে অনেকটা নিজস্ব ছাপ

রেখেছিলেন খলনায়ক হিসেবে। অভিনেতা দেব-অঙ্কুশ হাজরা-সোহম মুখোপাধ্যায়দের বিপরীতে ছবিতে নেগেটিভ রোল করেছিলেন নিয়মিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে হিরোগিরি, কেল্লাফতে, চ্যালেঞ্জ ২, বিন্দাস
এই রূপে তিনি বেশ শুনেশুনে নাম অর্জন করেছিলেন টলিউডে।


এখন মূহূর্ত-পরিবর্তন: মুদির দোকানে জীবন

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ছবিতে কাজ তাঁর কমে গেছে। ফোন ধরাই হয়নি অনেক সময়, সুযোগ পাচ্ছেন না মতো অনুভব করছেন তিনি।
এর ফলে জীবিকা রক্ষার্থে তিনি খুলেছেন একটি মুদির দোকান—স্থল ব্যারাকপুর-এ। এখন সেই দোকান থেকেই সংসার চালান।
এক ভিডিওভেবে বলতে শোনা গেছে:

“অভিনয়ের কাজ করে যে পারিশ্রমিক পেতাম তার থেকে এই দোকান থেকে আয় অনেক বেশি। আর পাশাপাশি সম্মানের… এখন খুব মানসিক শান্তিতে আছি।”
এই কথাগুলো থেকে বোঝা যায়, অভিনেতা তার বর্তমান অবস্থায় এক ধরনের শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।


চলচ্চিত্র-যুগ থেকে দৈনন্দিন জীবনে

এই পরিবর্তন শুধু ক্যারিয়ারে নয়, ব্যক্তিগত জীবনের রূপান্তরও নির্দেশ করে। এক সময়ে তিনি ছিলেন ক্যামেরার সামনে “ভিলেন” রূপে সাড়া ফেলা মুখ, এখন তিনি সাধারণ-একজন-ব্যবসায়ী।
এই বিষয়টি আমাদের জন্য চোখ খোলা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়: সাফল্য ও জনপ্রিয়তা স্থায়ী নয়, প্রত্যেকের জীবনে পরিবর্তনের সময় আসে।
তাছাড়া, তার কথায় রয়েছে একটি গভীর বার্তা:

“একটা সময় ছিল যখন মানুষ হলে টাকা দিয়ে সিনেমা দেখতে যেত… এখন আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত বলছি…”
এটি হয়তো ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছে।


উপসংহার

সুরজিৎ সেনের গল্প হলো এক ধরণের উর্ধ্বমুখী আত্মপরিচয়ের পরিবর্তন। সিনেমার ভিলেন-চরিত্র থেকে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা—এটি শুধু পরিচয়ের পরিবর্তন নয়, জীবনের দৃষ্টিভঙ্গারও পরিবর্তন।
তাঁর এই সিদ্ধান্ত হয়তো অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার। কারণ কখনো কখনো “চিত্রগৌরব” ধরে রাখা যায় না, কিন্তু নিজের জীবিকা ও সম্মান সঙ্গে রেখে চলা যায়।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *